১ হাজার টাকা ভাড়ায় চুক্তি সম্পাদনে নোটিশের বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা মেট্রোরেল ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যানটিন মাসিক ১ হাজার টাকা ভাড়ায় পরিচালনার জন্য চুক্তি সম্পাদনে দেওয়া নোটিশের বিষয়টি অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে অনুসন্ধান করে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

এর আগে ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলামের ১৪ মার্চ সই করা একটি স্মারকে ক্যানটিন পরিচালনার জন্য চুক্তি সম্পাদনে খন্দকার এন্টারপ্রাইজ বরাবর নোটিশ দেওয়া হয়। স্মারকের ভাষ্য, ভাড়া হিসেবে মাসিক ১ হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত সর্বমোট ১২ হাজার টাকা মূল্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন-৬–এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যানটিন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দাখিল করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজের দরপত্রটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। নোটিশ জারি করার সাত দিনের মধ্যে তিন বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত রয়েছে বলে খন্দকার এন্টারপ্রাইজকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়।

চুক্তি সম্পাদনের এই নোটিশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ বুধবার রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ১৪ মার্চের ওই স্মারকের বিষয়টি নজরে এলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এতে জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয়। শুনানি শেষে আদালত রুলসহ আদেশ দেন। ওই নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। চুক্তি সম্পাদনের জন্য দেওয়া নোটিশের বিষয়ে এক মাসের মধ্যে অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।