বাহাউদ্দিন নাছিমের নগদ টাকা বেড়ে সাড়ে ৭ কোটি, ব্যাংকে জমা সাড়ে ৯ কোটি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নগদ টাকা বেড়েছে। গত এক দশকে তাঁর নিজের নগদ টাকা বেড়েছে ১৭ গুণ। আর একই সময়ে স্ত্রীর নগদ টাকা বেড়েছে ১৬ গুণ। নাছিমের নগদ টাকা ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার থেকে বেড়ে এখন ৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা হয়েছে। আর স্ত্রীর নগদ টাকা ১৮ লাখ ৯৬ হাজার থেকে বেড়ে তিন কোটি চার লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

দশম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য বাহাউদ্দিন নাছিমের দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন নাছিম। এর আগে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি।

হলফনামায় দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে নাছিম জানিয়েছেন, স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে তাঁর জমা আছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগে এটি ছিল ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ১০ বছর আগে তাঁর স্ত্রীর নামে আমানত হিসেবে জমা ছিল ৩১ হাজার ২১৫ টাকা। এখন জমা আছে দেড় কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে নাছিমের বিনিয়োগ আছে ১১ কোটি টাকার বেশি। ১০ বছর আগে এ খাতে তাঁর বিনিয়োগ ছিল ৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। তবে বছরে আয় বেশি বাড়েনি পেশাগতভাবে ব্যবসায়ী এ নেতার। বছরে এখন আয় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। আগে ছিল ১ কোটি ৮৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা। বাহাউদ্দিন নাছিম ৬০ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪৯ টাকা আয় করেন বাড়িভাড়া থেকে। চাকরি থেকে তাঁর আয় ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চাকরি ও বাড়িভাড়া খাতে এর আগে তাঁর কোনো আয় ছিল না। তবে অন্যান্য খাতে তিনি আগে ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আয় করতেন, যার খাত নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি ওই সময়। এবার অন্যান্য খাতে ডিভিডেন্ড থেকে বছরে ৫০ লাখ টাকা ও বাসভাড়া পেয়েছেন ৩৯ হাজার টাকা।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে বাহাউদ্দিন নাছিমের নিজের কোনো গাড়ি ছিল না। তাঁর স্ত্রীর নামে ২৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা দামের একটি গাড়ি ছিল। এখন স্ত্রীর নামে কোনো গাড়ি নেই। তবে ৫২ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় কেনা একটি গাড়ি আছে তাঁর নিজের নামে। এ ছাড়া ১২ লাখ টাকায় কেনা একটি বাস আছে। তাঁর স্ত্রীর নামে ২৫ একর জমি (বন) আছে, যা আগেও ছিল। ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাটটি এখনো আছে স্ত্রীর নামে। নাছিমের নামে উত্তরায় একটি ৭ তলা ভবন আছে। দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় যার দাম দেখানো হয়েছিল ৯৫ লাখ টাকা, এবার দাম দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এ ছাড়া আগে তাঁর নামে আর কোনো বাড়ি ছিল না। এখন মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি দোতলা বাড়ি, গাজীপুরের পুবাইলে ১ একর জমি ও দোতলা ভবন, মিরপুরে ৪৫ লাখ টাকায় কেনা একটি ফ্ল্যাট আছে। এ ছাড়া এক দশক আগে ব্যাংকের কাছে নাছিমের ঋণের দায়ে দেনা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। সেখানে বর্তমানে তাঁর দায় আছে চার কোটি টাকা।