শিক্ষক বদলির বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির জন্য ৯০ দিনের মধ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা সচিবসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ–সংক্রান্ত রিট নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন।

জনবলকাঠামো অনুসারে, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির জন্য একটি নীতিমালা বা নির্দেশিকা প্রণয়নে নির্দেশনা চেয়ে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ১৩০ জন শিক্ষক ২০২১ সালে রিটটি করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৬ জুন হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বদলির জন্য জনবলকাঠামো অনুযায়ী একটি নীতিমালা বা নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ–সংক্রান্ত রুলের শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো, বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবলকাঠামো এবং এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির জন্য নীতিমালা বা নির্দেশিকা প্রণয়নের বিধান রয়েছে বলে জানান আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বদলির জন্য নীতিমালা প্রণয়নে পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিটটি করা হয়েছিল। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির জন্য ৯০ দিনের মধ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে শিক্ষা সচিবসহ বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অবশ্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্যত্র বদলির বিষয়ে নীতিমালার একটি খসড়া করেছে। নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন।