নাইকো দুর্নীতি মামলায় কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তার সাক্ষ্য

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁরা হলেন কেবিন ডুগগান ও লয়েড শোয়েপ। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আজ সোমবার এই দুই সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আগামীকাল এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আজ কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের কর্মকর্তা কেবিন ডুগগান ও লয়েড শোয়েপের জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়েছে। তাঁদের দুজনকে জেরা অব্যাহত রয়েছে। আগামীকালও দুই সাক্ষীকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) এক কর্মকর্তা ও কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দেন আদালত।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ইতিমধ্যে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে তিনি ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাঁকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয়। করোনা মহামারির মধ্যে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।