গ্রামীণফোনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান আন্দোলনকারীদের

রাজধানীর বসুন্ধরায় গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দেশের শীর্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, মুঠোফোনে ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রামীণফোনের কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের খবর পাওয়া যায়। পরে রাত পৌনে আটটার দিকে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক শ তরুণ কার্যালয়ের সামনে রয়েছেন। তাঁরা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন। তবে এখন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কেউ কার্যালয়ে নেই। তরুণদের নিরাপত্তারক্ষীরা বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছেন।

দেশের চারটি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের একটি গ্রামীণফোন। গ্রাহকসংখ্যায় তারাই শীর্ষে। প্রতিষ্ঠানটির মূল কার্যালয় ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গতকাল বুধবার রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর-জি সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু আছে। মোবাইল ইন্টারনেটের টু-জি সেবা চালু আছে। সংশ্লিষ্ট অপারেটর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবহারকারীরা। প্রবেশ করা যাচ্ছে না ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে।

এদিকে আজ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, জাতীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহ্‌মেদ ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটার কারণে সাময়িক যে ক্ষতি ও অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সেটা মেনে নিয়ে সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান।

অবশ্য কেউ কেউ ফেসবুকে লিখছেন, ইন্টারনেট বন্ধের কারণে ডিজিটাল লেনদেন বিঘ্নিত হচ্ছে। আবার অবাধ তথ্যপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। এতে গুজব আরও ছড়িয়ে পড়ছে।

এদিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ১৬ জুলাই পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ জানায়।