স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে সেলিম চেয়ারম্যানের ভাইয়ের আবেদনের শুনানি মুলতবি

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

 চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছিলেন বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বোরহান খান। আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আবেদনটির শুনানি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন।

 আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বোরহান খান মেঘনা থেকে বালু উত্তোলন করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। 

 বোরহান খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের ছোট ভাই। এর আগে বোরহান চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার আটটি মৌজায় অবস্থিত মেঘনা নদী থেকে এক বছরের জন্য বালু উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আটটি মৌজায় তাঁকে এক বছরের জন্য বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে সরকারপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা ১৭ জানুয়ারি চেম্বার আদালতে ওঠে। শুনানি নিয়ে সেদিন চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। 

চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন বোরহান, যা আজ চেম্বার আদালতে ওঠে। আদালতে বোরহানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। 

 পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বোরহান খান আবেদনটি করেন। হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি পেয়েছি। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ এখন নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করবে। এ পর্যায়ে চেম্বার আদালত বোরহানের আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছেন। ফলে তিনি বালু উত্তোলন করতে পারছেন না।’

এর আগে বালু উত্তোলনে অনুমতি দিতে নির্দেশনা চেয়ে সেলিম খান হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ‘বাস্তবিক অর্থে সহযোগিতায়’ চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে ৮৬ দশমিক ৩০ কিউবিক মিটার (৩০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুট) বালু তাঁকে উত্তোলনে অনুমতি দিতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 ‘বাস্তবিক অর্থে সহযোগিতায়’ চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে ৮৬ দশমিক ৩০ কিউবিক মিটার (৩০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুট) বালু তাঁকে উত্তোলনে অনুমতি দিতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা চেম্বার আদালতে ওঠে। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ২৯ মে আপিল বিভাগ ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে সেলিম খানকে বালু উত্তোলনে অনুমতি দিতে হাইকোর্ট দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন।