চট্টগ্রামে চালু হচ্ছে ‘বাবুল্যান্ড’

চট্টগ্রামে ইনডোর প্লেগ্রাউন্ড ‘বাবুল্যান্ড’ চালু করতে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ইনডোর প্লেগ্রাউন্ড ‘বাবুল্যান্ড’ চালু হচ্ছে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের ইলিজি স্কাই পার্কে। গত সোমবার এই ব্রাঞ্চের ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রামের এইচএমএস করপোরেশনের মালিকানাধীন উৎসব সুপার মার্কেটে দুই পক্ষের মধ্যে এ–সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মঞ্জুরুল হক, এইচএমএস করপোরেশনের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহিদুল হক, পরিচালক হাসান মাহমুদ, উৎসব সুপার মার্কেটের হেড অব অপারেশন সাদেক আলি, বাবুল্যান্ড ইনডোর প্লেগ্রাউন্ডের চেয়ারম্যান ইশনাদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনামুল হক কলিন্সসহ বাবুল্যান্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

২০১৮ সালের মে মাসে যাত্রা শুরু করা বাবুল্যান্ড বর্তমানে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ মোট ১১টি শাখায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ শিশু এখানে খেলাধুলার সুযোগ উপভোগ করে। শেওড়াপাড়া, মিরপুর-২, মিরপুর-১২, উত্তরা হাউস বিল্ডিং, উত্তরা আজমপুর, বাড্ডা, ওয়ারী, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, নারায়ণগঞ্জ ও লক্ষ্মীবাজারে বাবুল্যান্ডের শাখাগুলো অবস্থিত।

ইট-পাথরের শহরে শিশুদের বিনোদন ও শারীরিক–মানসিক বিকাশের সুযোগ কমে আসছে প্রতিনিয়ত। শিশুদের খেলাধুলার জায়গা নেই বললেই চলে। ফলে শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ছে স্মার্টফোনে। এতে বেড়ে চলেছে তাদের শারীরিক ও মানসিক নানা রকম সমস্যা। যেমন দেরিতে কথা বলা, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশতে না পাড়া, শারীরিক বৃদ্ধিজনিত সমস্যা ইত্যাদি।

বাবুল্যান্ডের ইনডোর প্লেগ্রাউন্ডের কার্যক্রম এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে উদ্দীপনা জোগায়, যা শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বাবুল্যান্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইশনাদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের শৈশব আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের শৈশবে বেড়ে ওঠার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাত। এখনকার শিশুদের শৈশব কাটছে স্মার্টফোনে, যার পরিণাম বেশ ভয়ংকর। বাবুল্যান্ড একটি ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান, যেখানে আমরা সব সময় শিশুদের সুবিধার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বাবুল্যান্ড শুধু ইলিজি স্কাই পার্কে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পুরো চট্টগ্রামেই কাজ করতে চাই আমরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরই চট্টগ্রামের আরও কিছু প্রাইম লোকেশনে বাবুল্যান্ড উদ্বোধন করার আশা রাখছি।’

বাবুল্যান্ডের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনামুল হক কলিন্স বলেন, ‘আমার ছোটবেলা কেটেছে খোলা মাঠে নানা রকম খেলাধুলা করে। আমার সন্তানের দিকে তাকালে মন খারাপ হয়। তাদের শৈশব কেমন যেন চার দেয়ালের ভেতর আটকে গেছে। আর এমন দৃশ্য প্রায় প্রতিটি ঘরে। তাই শিশুদের একটা সুন্দর শৈশব দেওয়ার জন্য বাবুল্যান্ডের এই অগ্রযাত্রা।’

এ বিষয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠান এইচএমএস করপোরেশনের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করছি নতুন নতুন সব অভিজ্ঞতা চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিতে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একত্র হয়েছি দেশের বৃহত্তম ইনডোর প্লেগ্রাউন্ড বাবুল্যান্ডের সঙ্গে। এর ফলে চট্টগ্রামের শিশুরা পাবে অত্যাধুনিক পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ এবং তাদের বেড়ে ওঠা হবে সুন্দর ও নিরাপদ।’