চা–শ্রমিকদের আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীদের সংহতি

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে তৃতীয় দিনের কর্মবিরতিতে চা–শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভুরভুরিয়া চা–বাগানে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে চলমান চা–শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে এ সংহতি জানান তাঁরা। সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন জালালাবাদ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জালালাবাদ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসরুর আহমেদ বলেন, দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। যেখানে ১ হালি ডিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, এক কেজি চাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা সেখানে দৈনিক ১২০ টাকা দিয়ে একটা পরিবার কীভাবে চলবে? খুবই দুঃখজনক যে এখনো তাঁদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবি মালিকপক্ষ মানেনি। চা–বাগানের মালিকেরা শ্রমিকদের জিম্মি করে ধনী হতে চান৷ শ্রমিকদের জীবন নিয়ে তাঁদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই৷

সংগঠনটির সাবেক সভাপতি নয়ন চন্দ্র মোদক বলেন, ‘আমি শ্রীমঙ্গলের সন্তান। কাছ থেকে চা–শ্রমিকদের দেখেছি। তাঁদের দুঃখ–দুর্দশার কথা বলে শেষ করা যাবে না। ৩০০ টাকা মজুরি দাবি করাও তাঁদের জন্য কম। বর্তমান সময়ে রোজ ৩০০ টাকা দিয়েও একটা পরিবার চলতে পারে না। আমরা তাঁদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি৷’

জালালাবাদ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মসরুর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর সাঈদ, জয়েস দেব, অর্থ সম্পাদক ছদিওল মোহাম্মদ ফাহাদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ধন কিশোর ত্রিপুরা, ইতিহাস বিভাগের রাকিবুল হাসান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত ৯ আগস্ট থেকে চা–বাগানের শ্রমিকেরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। সম্প্রতি ত্রিপক্ষীয় সভায়ও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। গত শনিবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর বিকেল ৪টার দিকে ১২০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা মজুরি মেনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল। এর তিন ঘণ্টা না যেতেই সাধারণ চা-শ্রমিকদের রোষানলে পড়ে এবং বিভিন্ন ভ্যালি কমিটির সমর্থন না পেয়ে আবার ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় চা-শ্রমিক ইউনিয়ন।