মানি লন্ডারিং মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদনের ওপর আদেশ ২১ জুলাই

ড. মুহাম্মদ ইউনূসফাইল ছবি

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত শীর্ষ কর্মকর্তার করা আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ২১ জুলাই তারিখ রেখেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের এই তারিখ ধার্য করেন।

মামলায় গত ১২ জুন ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই তারিখ ধার্য রয়েছে। অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা গত সোমবার আবেদন করেন। এ আবেদনের ওপর গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার শুনানি হয়।

আদালতে ড. ইউনূসসহ সাতজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

ড. ইউনূস ছাড়া অপর ছয় আবেদনকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

ড. ইউনূসসহ সাতজনের করা আবেদনে দেখা যায়, মামলার কার্যধারা কেন বাতিল হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় মামলার পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।