ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতফাইল ছবি

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) শেখ মামুন খালেদ, তাঁর স্ত্রী নিগার সুলতানাসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

অন্য যে দুজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত, তাঁরা হলেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জুবায়েরের ভায়রা খন্দকার আবদুল কাইয়ুম ও তাঁর পূর্বপরিচিত কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক শেখ মামুন খালেদের বিরুদ্ধে শেয়ার ব্যবসা করাসহ ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম–দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। পরে শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

আরও পড়ুন

জুবায়েরের আত্মীয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জুবায়েরের ভায়রা খন্দকার আবদুল কাইয়ুম ও কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুদক।

আবেদনে দুদক বলেছে, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক টি এম জুবায়েরের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করে বিভিন্ন পদে চাকরি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে, টি এম জুবায়ের লন্ডনে অর্থ পাচার করে বাড়ি কিনেছেন। ওই বাড়িটির ক্রয়মূল্য ২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ড। টি এম জুবায়েরের ব্যাংক হিসাব থেকে তাঁর আত্মীয় আবদুল কাইয়ুম ও আবু সাঈদ মো. মুস্তাক অর্থ হস্তান্তর বা রূপান্তরে সহযোগিতা করছেন। এই দুজন বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।

আরও পড়ুন