অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পদক্ষেপ
ব্যাখ্যা দিতে তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ আট কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ
অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আদালতের আদেশ প্রতিপালন না হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তিন বিভাগীয় কমিশনার, তিন জেলা প্রশাসক ও দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
হাজির হতে বলা কর্মকর্তারা হলেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার; নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
আবেদনকারীপক্ষের তথ্য অনুসারে, সারা দেশে লাইসেন্সহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে একটি রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৩ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা ও ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এইচআরপিবির করা সম্পূরক এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এতে দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু না করতে পারে, সে বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিভাগীয় কমিশনারদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। পাশাপাশি কার্যক্রম ও পদক্ষেপ জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
তিন বিভাগীয় কমিশনার ২৮ নভেম্বরের আদেশ অনুসারে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তবে প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগে বন্ধ করা ইটভাটাগুলোর নাম আবার বন্ধ করা ইটভাটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। অবৈধ ইটভাটাগুলো যাতে কার্যক্রম শুরু না করতে পারে, সে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অবৈধ অনেকগুলো ইটভাটার কার্যক্রম চলছে বলে প্রতিবেদনে এসেছে। আদালতের আদেশ সত্ত্বেও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার; নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত ওই আদেশ দেন।’