দেশে হেপাটাইটিস বিশেষজ্ঞ কম

প্রথম আলোর চার শতাধিক কর্মীর বিনা মূল্যে হেপাটাইটিস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস
ছবি: প্রথম আলো

দেশে যকৃতের প্রদাহে বা হেপাটাইটিসে ভুগে বছরে প্রায় ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের ৯ জনই জানে না তারা এই রোগে ভুগছে। দেশে এই রোগের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞের ঘাটতি আছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই কথা বলেন। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে সহযোগিতা করে বেসরকারি সংগঠন ফোরাম ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভার ও প্রথম আলো।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীদের ১০ শতাংশ হেপাটাইটিসের। এসব বিভাগে যত রোগী মারা যায় তার এক–তৃতীয়াংশ হেপাটাইটিসের।

এই হেপাটাইটিস বিশেষজ্ঞ বলেন, দেশে হেপাটাইটিসের প্রকোপের তুলনায় চিকিৎসার আয়োজন বা ব্যবস্থা কম। সারা দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা এক শর কিছু বেশি। একটি বিশেষায়িত জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হলে বিশেষজ্ঞ জনবলের স্বল্পতা দূর করা যেত।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইসটিস নির্মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অনেক কিছুই করা বাকি।

এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ারুল হক বলেন, হেপাটাইটিস চিকিৎসায় সব ধরনের ওষুধ এখন বাংলাদেশে পাওয়া যায়।

আলোচনায় আরো অংশ নেন প্রথম আলোর উপ–সম্পাদক লাজ্জাত এনাম মহছি, প্রথমার জ্যেষ্ঠ পাণ্ডুলিপি সম্পাদক ও শিশু সাহিত্যিক আখতার হুসেন, প্রথম আলোর হেড অব কালচারাল প্রোগ্রাম ও গীতিকার কবির বকুল প্রমুখ।

এদিকে আজ সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রথম আলোর চার শতাধিক কর্মীর বিনা মূল্যে হেপাটাইটিস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস।