৫ আগস্ট থেকে মিডিয়া দখল দেখছি: এনসিপি নেতা মুশফিক
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশে গণমাধ্যম ‘দখল’ দেখার কথা বললেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন। আগামী নির্বাচনে গণমাধ্যমের অপব্যবহারের আশঙ্কাও করেছেন তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো আয়োজিত ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন এনসিপি নেতা মুশফিক, যিনি নিজেও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন।
বৈঠকে মুশফিক বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪ সালের) থেকে দেখেছি মিডিয়া দখল করা শুরু হয়েছে...মিডিয়ায় রিভার্স একধরনের দলীয়করণ হয়েছে। যেখানে আগে একধরনের ছিল, এখন অন্য মতাবলম্বী লোকদের নিয়ে রিপ্লেস করার বিষয়টি ছিল।’
আগামী সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের অপব্যবহারের কারণে খারাপ পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে মুশফিক বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যেটা দেখছি, সেটা দেখে কিছুটা বিজেপি বা ট্রাম্প (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প) স্টাইলে মিস ইনফরমেশন বা ডিস ইনফরমেশন ক্যাম্পেইনের মতো করে চলছে বলে মনে হচ্ছে। এটা যদি হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, সেখানে এই গণমাধ্যমের অপব্যবহার অথবা ভুল চর্চার কারণে অনেক খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করি। সে কারণে সবার প্রতি একটা দায়িত্বশীলতার আহ্বান জানাই।’
প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ, কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান, বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান মওদুদ হোসেন আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান মতিউর রহমান আকন্দ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক, বণিক বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম কর্মসূচির সমন্বয়ক এস এম রিজওয়ান উল আলম, এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য কামরুন্নেসা হাসান।