খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণ, বিক্ষোভে হামলার ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ
খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ ধরনের আচরণকে মৌলিক অধিকারের পরীপন্থী আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি বলেছে, এভাবে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করে কিশোরী নির্যাতনের বিচার এড়িয়ে যাওয়ার অপকৌশল নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।
আজ রোববার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার মারমা জাতিগোষ্ঠীর এক কিশোরী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি জনগোষ্ঠী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালিয়ে উপস্থিত জনগোষ্ঠীকে মারধর করে এবং রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহিলা পরিষদ মনে করে, পার্বত্য অঞ্চলের জাতিসত্তাভিত্তিক নারী ও কিশোরীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করে এমন যেকোনো পক্ষপাতদুষ্ট বা অন্যায্য আচরণ দেশের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি যেখানেই বসবাস করুন না কেন, যেকোনো জাতিসত্তা বা সম্প্রদায়েরই হোন না কেন।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ এবং হামলায় আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে মহিলা পরিষদ। একই সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার ও নাগরিক সমাজকে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।