ছোট মাছের বড় উপকারের কথা ছড়িয়ে দিতে হবে

মৎস্যসম্পদবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশের পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের বৈশ্বিক প্রধান হিসেবে কাজ করছেন শকুন্তলা হারসিংগে থিলস্টেড। প্রায় ৩০ বছর আগে বাংলাদেশের মলা মাছের ওপর গবেষণার মধ্য দিয়ে তাঁর গবেষণাজীবনের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছোট মাছের পুষ্টিগুণ বিষয় জনপ্রিয় করতে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। এ জন্য ২০২১ সালে জাতিসংঘ থেকে বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পান ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোতে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ

  • ছোট মাছ শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের গঠনে সহায়তা করে।

  • বিশ্বের ১৩টি দেশে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ছোট মাছ নিয়ে কাজ হচ্ছে।

  • বাংলাদেশে ৪০ লাখ পুকুরের পাশাপাশি হাজারো বিল, হাওর, নদী ও খাল আছে।

  • এসব জলাধারে ছোট মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।

  • মাছের গুঁড়া, চাটনি ভাত ও খিচুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

শকুন্তলা হারসিংগে থিলস্টেড
প্রথম আলো

প্রশ্ন :

পৃথিবীতে এত মাছের প্রজাতি থাকতে বাংলাদেশের মলার প্রতি কেন আগ্রহী হলেন?

শকুন্তলা হারসিংগে: আশির দশকের শেষের দিকে আমি বাংলাদেশে গবেষণার কাজে আসি। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সঙ্গে কাজ শুরু করি। আমি মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখি, গ্রামের বেশির ভাগ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। আমি জানার চেষ্টা করি তারা কী ধরনের খাবার খায়। জানতে পারলাম, তারা খুব বেশি ছোট মাছ খায় না। ভাত, সবজি ও বড় মাছ তাদের পছন্দ। কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ গ্রামের পুকুর, বিল ও নদীতে ছোট মাছ পাওয়া যায়। আর বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় প্রবাদ সম্পর্কে জানলাম। তা হচ্ছে ‘মাছে–ভাতে বাঙালি’। অর্থাৎ ভাতের আগে মাছকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টির জোগানের বড় অংশ মাছ থেকে আসত। জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের বড় অংশ এখনো মাছ থেকে আসে।

ছবি: প্রথম আলো

প্রশ্ন :

এই মাছের গুণ সম্পর্কে কীভাবে জানলেন?

শকুন্তলা হারসিংগে: আমি এসব মাছে কী ধরনের পুষ্টি উপাদান আছে, তা জানার জন্য গবেষণা শুরু করলাম। মলাসহ বেশ কিছু ছোট মাছ সংগ্রহ করে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে এর পুষ্টিগুণ নিয়ে গবেষণা করি। জানতে পারলাম, বাংলাদেশের মলা, ঢেলা, কাচকি, পুটি মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অণুপুষ্টি কণা বা মাইক্রো নিউট্রেন্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড আছে; যা বাংলাদেশের শিশু ও গর্ভবতী মায়েরা খেলে শিশুদের পুষ্টি সমস্যার অনেকাংশের সমাধান হয়ে যাবে। কারণ, এসব মাছ শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের গঠনে খুবই সহায়তা করে। এর পর থেকে আমি ওয়ার্ল্ড ফিশে যোগ দিই। সেখানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অধ্যাপক মো. আবদুল ওহাব আমাকে সহায়তা করেন। তিনি মাঠপর্যায়ে ছোট মাছের চাষিদের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন। আমি মলাসহ ছোট মাছ নিয়ে তখন থেকে শুরু করে এখনো কাজ করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন :

অন্য বড় মাছের সঙ্গে ছোট মাছের পার্থক্য কী? কেন এটি বেশি উপকারী?

শকুন্তলা হারসিংগে: বড় মাছের শরীরের শুধু মাংসের অংশটুকু আমরা খাই। এদের শরীরের অন্যান্য অংশে যেসব পুষ্টিকর উপাদান আছে, তা থেকে আমরা বঞ্চিত হই। কিন্তু ছোট মাছ সাধারণত আমরা পুরোটা খাই। এর চোখ, কাঁটাসহ পুরো মাছ খাওয়ার ফলে এর শরীরের সব পুষ্টি উপাদান আমরা পাই। আর ছোট মাছ মূলত ক্ষুদ্র প্রাণিকণা ও উদ্ভিদকণা খেয়ে বাঁচে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও খাবারের মাধ্যমে এরা বড় হওয়ার ফলে এদের শরীরে পুষ্টি উপাদানগুলো বেশি থাকে। যে কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ ও মেধাবী করে গড়ে তুলতে হলে ছোট মাছের বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

আপনি ২০২১ সালের বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পেয়েছেন। এই পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আপনার কাজ কতটুকু ভূমিকা রেখেছে।

শকুন্তলা হারসিংগে: আমার মৌলিক গবেষণার বড় অংশ বাংলাদেশে করা। এখানকার ছোট মাছের উপকারিতার বিষয়টিকে আমি প্রমাণ করে তা জনপ্রিয় করেছি। আজকে বাংলাদেশের গর্ভবতী নারী ও শিশুদের ছোট মাছ খাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে। বিশ্বের ১৩টি দেশে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেখানকার ছোট মাছ নিয়ে আমি গবেষণা করেছি। ভারত, ফিলিপাইনসহ এসব দেশে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার আলোকে করা কাজের ফলাফল এখন দেশগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুসরণ করছে। ফলে আমার ওই সম্মান পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রেখেছে। আর আমি বাংলাদেশে ৩০ বছর ধরে কাজ করছি। ওয়ার্ল্ড ফিশের সঙ্গে এখন আমি বিশ্বের অনেক দেশে কাজ করছি। কিন্তু বাংলাদেশ সব সময় আমার কাজের জায়গা হিসেবে আছে।

প্রথম আলো ফাইল ছবি

প্রশ্ন :

কিন্তু বাংলাদেশে তো এখন ছোট মাছের দামও বেশি?

শকুন্তলা হারসিংগে: হ্যাঁ, এটা ঠিক। রুই, পাঙাশ ও তেলাপিয়ার মতো অনেক বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছের দাম বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে ৪০ লাখ পুকুর আছে। হাজারো বিল, হাওর, নদী, খালসহ উন্মুক্ত জলাশয় আছে। সেখানে চাইলেই পরিকল্পিতভাবে ছোট মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। উৎপাদন বাড়লে ওই মাছের দামও কমে আসবে। বঙ্গোপসাগরেও প্রচুর পরিমাণে ছোট মাছ আছে। পুঁটির মতো ছোট মাছগুলোর দাম খুব একটা বেশি না। তবে সমুদ্র ও নদীর ছোট মাছের একটা সমস্যা হচ্ছে, তা ভালোভাবে সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে যায়। এ জন্য আমি বলছি আমরা যদি ছোট মাছকে শুকিয়ে পাউডার হিসেবে তৈরি করি, মাছের চাটনি তৈরি করতে পারি, তাহলে তা অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। বিশেষ করে অনেক ছোট মাছ শুধু বর্ষাকালে বেশি ধরা পড়ে। ফলে মাছের গুঁড়া ও চাটনিকে জনপ্রিয় করতে পারলে আমরা ভাত ও খিচুরির সঙ্গে মিশিয়ে তা খেতে পারি। এতে পুষ্টি সমস্যার সমাধান হবে, আবার এসব মাছকেন্দ্রিক উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

প্রশ্ন :

মলা মাছকে তো আপনি ‘সুপার ফুড’ বলছেন।

শকুন্তলা হারসিংগে: পৃথিবীতে খুব কম খাবার আছে, যাদের মধ্যে মলার মতো পুষ্টিগুণ আছে। যে কারণে মলা–জাতীয় মাছ খাওয়ার জন্য আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচারণা চালাচ্ছি। এই মাছ অল্প পরিমাণে খেলে অনেক পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। সব দেশে তো আর মলা মাছ নেই, সেখানে একই ধরনের অন্য মাছেও একই ধরনের পুষ্টিগুণ আমরা পেয়েছি। ফলে সামগ্রিকভাবে আমি বলব, বেশির ভাগ ছোট মাছ হচ্ছে সুপার ফুড।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ক্ষুধা নিবারণের জন্য ভাত ও সবজিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশি করে ভাত খেয়ে পাকস্থলী ভরে রাখলে কেউ স্বাস্থ্যবান হবে না। ওই খাবারে কী পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে, তা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। সুপার ফুড আমরা তাকেই বলি, যার মধ্যে অল্প খাবারে বেশি পুষ্টি উপাদান আছে। ছোট মাছের মধ্যে তা আছে। তবে প্রতিটি মানুষকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি, ফল ও ডাল জাতীয় খাবার খেতে হবে। এর সঙ্গে মাছও খেতে হবে।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

ছোট মাছ ছাড়া আর কী ধরনের খাবার বাংলাদেশের জন্য সুপার ফুড বলে মনে হয়েছে?

শকুন্তলা হারসিংগে: বাংলাদেশে সমুদ্রসম্পদ আহরণকে গুরুত্ব দিতে হবে। ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি সরকারি–বেসরকারি সংস্থা উপকূলীয় এলাকায় সামুদ্রিক শৈবাল ও ঘাসের চাষ করছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার পর এসব উদ্ভিদ এখন বাণিজ্যিকভাবে উপকূলীয় চাষিরা চাষ শুরু করেছে। এ ছাড়া সবুজ ঝিনুকসহ অনেক ধরনের সামুদ্রিক প্রাণীর চাষও পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। এসব খাবার হচ্ছে সুপার ফুড। এর মধ্যে অনেকগুলো খাবার বাংলাদেশে তেমন জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে এগুলোর চাষ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাজারে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে তা কিনছে, খাচ্ছে। ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আবার পূর্ব এশিয়ার দেশ যেমন চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় এসব খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে উপকূলে সামুদ্রিক ছোট মাছ আহরণ এবং সামুদ্রিক শৈবাল ও ঘাসের চাষ বাড়াতে হবে; যা পুষ্টিনিরাপত্তা এবং উপকূলীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নে তা অবদান রাখবে।

প্রশ্ন :

বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছোট মাছ নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

শকুন্তলা হারসিংগে: আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে ভারত, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, নেপাল, মালাউই, মোজাম্বিকসহ ১০টি দেশে কাজ করছি। সেখানে আমরা একই পুকুরে ছোট ও বড় মাছ চাষ করার জন্য চাষিদের উৎসাহিত করছি। সেখানে দ্রুত এ ধরনের চাষপদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে। এসব দেশেও বাংলাদেশের মলার মতো অনেক ছোট মাছ পাওয়া যায়। সেগুলো চাষ বাড়াতে আমরা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি।

যেসব দেশের ছোট মাছ যত বেশি জনপ্রিয়, সেখানকার শিশুরা তত বেশি স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী হয়ে বড় হচ্ছে। মায়েদের স্বাস্থ্য আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে। ফলে আমি বলব, ছোট মাছের বড় উপকারের কথা এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রশ্ন :

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে নদী ও পানিদূষণ বাড়ছে। ছোট মাছের পেটেও মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা পাওয়া যাচ্ছে।

শকুন্তলা হারসিংগে: হ্যাঁ, এটা একটা বিশাল সমস্যা। কারণ, পুষ্টিনিরাপত্তার পাশাপাশি নিরাপদ খাবারের বিষয়টিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে নদী ও জলাশয়দূষণ একটি বড় সমস্যা। দ্রুত শিল্পায়নের কারণে দূষণও অনেক দেশে বাড়ছে। আর নগরায়ণের কারণে প্লাস্টিকসামগ্রীর ব্যবহার বাড়ছে। এগুলোর বর্জ্য দিন শেষে মাটি থেকে নদীতে গিয়ে পড়ে। পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে তা মাছের শরীরে খাদ্যের সঙ্গে প্রবেশ করে। এ জন্য জলাভূমিগুলোর ভালো ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজটি সরকারকেই করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শিল্পকারখানা দরকার। কিন্তু সেগুলোকে দূষণমুক্ত রাখা না গেলে সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

প্রশ্ন :

আপনি তো বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করলেন। ছোট মাছ খাওয়ার ক্ষেত্র কোনো উন্নতি চোখে পড়েছে?

শকুন্তলা হারসিংগে: বাংলাদেশ চাল ও সবজি উৎপাদনে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। এটা খুবই ভালো দিক। বড় মাছের উৎপাদন বেশ বেড়েছে। কিন্তু ছোট মাছের উৎপাদন বাড়ানো এবং এগুলো থেকে নানা ধরনের খাবার তৈরির বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। ছোট মাছের বাজার ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হবে। একই পুকুরে ছোট ও বড় মাছের চাষ বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সরকারি নানা কর্মসূচিতে ছোট মাছের গুঁড়ার মতো খাবারকে যুক্ত করতে হবে। যাতে দরিদ্র ও অপুষ্টিতে ভোগা মানুষেরা এই খাবার সহজে পায়। এটি দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ছোট মাছ খেলে শিশুদের মস্তিষ্কের যে উন্নতি হবে, তা একটি মেধাবী প্রজন্ম তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রজন্ম মেধাবী না হলে, যে উন্নতি বাংলাদেশ করেছে, তা ধরে রাখা যাবে না।

প্রশ্ন :

বাংলাদেশে শুঁটকি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এতে কীটনাশক ব্যবহৃত বেশি হয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

শকুন্তলা হারসিংগে: মাছের শরীরে জলীয় বাষ্প শুকিয়ে ফেলে তা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। তবে এটা ঠিক, একে নিরাপদভাবে শুকানোর প্রযুক্তি ও পদ্ধতি আছে। যাতে কীটনাশক ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা দরকার হবে না। আর মাছের পাউডার বা গুঁড়া উৎপাদনের নিরাপদ প্রযুক্তিও আছে। ফলে এগুলো অনুসরণ করা হচ্ছে জরুরি কাজ। সরকারি সংস্থাগুলোকে এ জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।