টিকা নিন দ্রুত, অক্টোবরের পর আর টিকা না–ও পাওয়া যেতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যাঁরা এখনো করোনার টিকার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁদের দ্রুত তা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, দেশে এখনো করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেননি প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ, দ্বিতীয় ডোজ নেননি প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩ অক্টোবর থেকে প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে। এর মধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে বাদ পড়া মানুষকে টিকা নিতে হবে।
৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমবিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে এ অনুষ্ঠান হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা এখনো প্রথম ডোজ নেননি, দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁরা ৩ অক্টোবরের পর টিকা আর না–ও পেতে পারেন। কারণ, তখন টিকা হয়তো থাকবে না। অনেক টিকার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। যাঁরা এখনো প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নেননি, তাঁরা দ্রুত নিন। অক্টোবরের পর টিকা না–ও পেতে পারেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজকের অনুষ্ঠানে জানান, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৭১ শতাংশ মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষ। মোট প্রায় ৩০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এ পর্যন্ত।
জাহিদ মালেন বলেন, ‘টিকা কার্যক্রমে আমাদের আড়াই লাখ লোক কাজ করছে। এর মধ্যে ভ্যাকসিনেটরই রয়েছেন ৬০ হাজার। সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা নিয়ে নিন। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।’
শিশুদের টিকাদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘১০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখনো সোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে চার কোটির বেশি টিকা এখনো প্রয়োজন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা বেড়ে গেলে আবারও অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে, স্বাস্থ্যসেবায় প্রভাব পড়বে। সংক্রমণ কিন্তু আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা যেন মাস্ক পরা ভুলে গেছি, মাস্ক বড় হাতিয়ার। ভালো দিক হলো মৃত্যু হার কমেছে, আমরা সন্তুষ্ট নই, করোনাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) টিকাদান কর্মসূচি আগামী ১১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। দেশের ২ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৭ শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।