নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার অপরাধে এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ দুজনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন রিনা আক্তার এবং তাঁর ভাই আবদুল জলিল। তাঁদের বাড়ি জেলার বিজয়নগর উপজেলায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে ছিলেন।

বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের ওই কক্ষে থাকা কর্তব্যরত পরিদর্শকের। পরে ওই পরীক্ষার্থীর শরীর তল্লাশি করে কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজের অধ্যক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্যমতে, পরে তাঁর ভাইকেও আটক করা হয়। পরে সদর ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ ১০ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করতেন। এটি একটি বিশাল চক্র। ওই পরীক্ষার্থী তাঁর ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইস সংগ্রহ করেন। পরে তাঁর ভাইকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আটকের চেষ্টা করা হবে।