‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ

মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি ওঠা নিষেধ। তার ওপর আবার আরোহীদের কারও মাথায় নেই হেলমেট। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মোটরসাইকেলটি আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। ব্রাহ্মণ কান্দা এলাকা, ফরিদপুর, ১৬ মেছবি: আলীমুজ্জামান

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সারা দেশের মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ হেলমেট ছাড়া জ্বালানি দেওয়া হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম পুলিশ সদর দপ্তরের অনুষ্ঠিত এপ্রিল মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, গতকাল রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। সেখানে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ নীতি গ্রহণ দরকার বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি মোটরসাইকেলে চালকসহ দুজনের বেশি বহন করা যাবে না বলেও তিনি মত দেন।

পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আতিকুল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনার মামলার তদন্ত সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আত্মহত্যা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রোঅ্যাকটিভ পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় গত এপ্রিল মাসের সার্বিক অপরাধ পর্যালোচনা, সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, মামলা তদন্ত ও বিচারের ফলাফল, সাজার হার এবং সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সভায় পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি অপারেশনস (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি (উপপুলিশ মহাপরিদর্শক) ও জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন