চালের বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
ফাইল ছবি

দেশে চালের বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে সিন্ডিকেট আছে, তা ভাঙা সম্ভব নয় বলে মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ওই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান।


বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুরে ছাপড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে সারা দেশে শুরু হওয়া দরিদ্রদের মধ্যে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। আর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডালের পাশাপাশি ৩০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা। আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ করা হবে। খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে প্রতি মাসে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় বিশ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরও গম ও চাল আমদানি করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মিলে কি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে, সেখান থেকে আড়তে তারা কি দরে বিক্রি করছেন এবং আড়ত থেকে কিনে খুচরা বিক্রেতারা কত লাভে বিক্রি করছেন তা মনিটর করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

দেশে চালের কোনো সংকট নেই, প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ চাল আছে। চালে কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
দেশে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও তাহলে কেন বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। চাষিরা আম, আনারসসহ বিভিন্ন ফসলের দিকে ঝুঁকছেন। এ কারণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় চাল ও গম আমদানি করা হচ্ছে।

খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান, সরু চাল যাতে অবাধে আমদানি হয় সে জন্য সরকার করও কমিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হবে।
এ সময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবুর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার হাসিবুর রহমান মানিক উপস্থিত ছিলেন।