ফারদিনের মৃত্যুর বিষয়টি র‍্যাব-ডিবি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে বলেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূরের মৃত্যু নিয়ে তদন্তে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস স্মরণে রাজধানীর রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান এমন পরামর্শ দেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

আরও পড়ুন

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের র‍্যাব, আমাদের ডিবি, বিষয়টি (ফারদিনের মৃত্যু) সুন্দর করে বিশ্লেষণ করে বলেছে। কাজেই আপনাদের (সাংবাদিক) কিছু জানার থাকলে সেখান থেকে জেনে নিন।’

ফারদিন নূরের লাশ উদ্ধারের ৩৭ দিন পর গত বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দাবি করে, ফারদিন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। র‍্যাবের দাবিও একই। তবে তারা আত্মহত্যা না বলে বলেছে স্বেচ্ছামৃত্যু।

দুটি সংস্থাই বলেছে, গত ৪ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা ৩৪ মিনিটে ফারদিন ঢাকার ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে স্বেচ্ছায় শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দেন।

যদিও এর আগে বলা হচ্ছিল, ফারদিনকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়াকেন্দ্রিক অপরাধী চক্র খুন করে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন

৪ নভেম্বর দুপুরে বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

জঙ্গিবাদ বিষয়ে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই উত্থান ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি মনে করি, একটি গোষ্ঠী কোনো না কোনো উদ্দেশ্যে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানোর চেষ্টা করে। আমাদের দেশে জঙ্গিবাদের শাখা-প্রশাখা বিস্তার ঘটাতে পারেনি। এটি সমূলে উৎপাটন করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। যখন আমাদের ছেলেরা ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা পাচ্ছে, তখনই তারা জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফিরে আসছে।’

পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সীমান্ত এলাকায় অনেকগুলো সীমান্তরেখা আছে। দুর্গম হওয়ায় পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এসব এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে দুটি হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে। পুলিশকেও দুটি হেলিকপ্টার দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন

অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সীমান্ত রক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাঝেমধ্যে অনেক মতবাদের অনুসারীরা, অনেক উদ্দেশ্য নিয়ে জড়ো হয়ে সীমান্ত এলাকা বেছে নেয়। সাম্প্রতিক সময়ে এমন গোষ্ঠী বান্দরবান সীমান্তে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। গোয়েন্দারা বিষয়টি জানতে পারে। পরে অভিযান চালিয়ে অধিকাংশকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।