কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই সমাধানে গুরুত্বারোপ

‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই ব্যবস্থাপনা: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত অতিথিরাছবি: সংগৃহীত।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় সেমিনারে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই ব্যবস্থাপনা: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক থিমেটিক সেশনে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং অংশীদার সংস্থাসমূহ সুইস রেডক্রস, বাংলাদেশ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (বিপিসিএল), ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) যৌথভাবে এই সেশন আয়োজন করে। সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তাপুষ্ট ওয়াটারএইড এবং সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন গোফরইমপ্যাক্ট কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত এ সেশনে বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থা, নাগরিক সমাজ, যুবসমাজ, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর অগ্রগতি আনতে তিনটি বিষয়ে জোর দিতে হবে। এগুলো হলো গণসচেতনতা, প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারত্ব ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, বর্জ্য সমস্যার সমাধান শুধু ডাস্টবিন স্থাপনে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করতে হলে সবার আগে আমাদের আচরণ বদলাতে হবে, অন্যকে উৎসাহ দিতে হবে, আর পুনর্ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সোহরাব আলী কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গোফরইমপ্যাক্টের টিম লিডার সাঈফ মনজুর-আল-ইসলাম। তাঁর উপস্থাপনায় দেশের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান বাস্তবতা, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ, নীতিগত অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

সেমিনারে আরও তিনটি উপস্থাপনায় প্লাস্টিক, জৈব এবং ই–বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদেম মাহমুদ ইউসুফ, সুইস রেডক্রসের টেকনিক্যাল ম্যানেজার কমলেন্দু দাস এবং ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা আকবর।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবস্থাপনা) রাজিনারা বেগম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিশেষজ্ঞ ড. তারিক বিন ইউসুফ, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট গভর্ন্যান্সের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শিরিন সুলতানা লীরা, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হেড অব সাসটেইনেবিলিটি সুমাইয়া তাবাসসুম আহমেদ এবং টিআইবির যুব সম্পৃক্ততা ও সহায়তা (ইয়েস) গ্রুপের সাধারণ পরিষদ সদস্য আবরার জাহিন রেইন।