পবিত্র রমজান মাসের আগে কেউ যেন খাদ্য মজুত-খাদ্যে ভেজাল দিতে না পারে, সমাজ থেকে মাদকের অপব্যবহার, কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি ও সাইবার অপরাধ নির্মূলে আরও মনোযোগী হতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিশেষ করে র‍্যাবকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সুন্দরবনে সন্ত্রাসবাদ ও জলদস্যুতা মোকাবিলায় র‍্যাবের তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যথাযথ দায়িত্বশীলতা, কার্যকারিতা ও সক্রিয়তার সঙ্গে র‍্যাব অতীতের মতো ভূমিকা পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় থাকাকালীন অগ্নিসন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপতৎপরতা মোকাবিলা করেও তাঁর সরকার দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পেরেছে বলেই আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। কাজেই সে কথা মাথায় রেখেই সবাইকে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ দেশের প্রতিটি শান্তিপ্রিয় নাগরিকের কাছে আজকে এলিট ফোর্স র‍্যাব নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশ আমার অহংকার-এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে জনগণ ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে ভবিষ্যতেও এই বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বশীল, কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল। সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করেছে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে, তারই ভিত্তিতে তাঁর সরকার পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলবে। স্মার্ট অর্থনীতি হবে স্মার্ট বাংলাদেশে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বাস্তবায়ন করাটাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কীভাবে গড়ে উঠবে, সে জন্য ডেলটা প্ল্যান-২১০০ তাঁর দিয়ে যাচ্ছে তাঁর সরকার। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে শান্তিশৃঙ্খলা একান্তভাবে দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু লোক থাকবেই সব সময় বিরোধিতা করতে। আর মাঝেমধ্যে কিছু উল্টাপাল্টা কথাও বলবে। এগুলো কানে না নিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস নিয়ে, আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে আমরা আমাদের দেশের কল্যাণে সঠিক কাজ করছি কি না, সঠিক পথে আছি কি না, এই চিন্তাটা নিজেই করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে যদি আমরা এগিয়ে যাই, অবশ্যই বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে তুলব।’

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে র‍্যাবের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।