দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন

হাইকোর্ট বিভাগের দলবাজ-দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ/অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে সুপ্রিম আইনজীবীদের একাংশ। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেছবি: প্রথম আলো

দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আইনজীবীদের একাংশ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আজ সোমবার দুপুরে ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীবৃন্দ’ ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন তাঁরা।

‘হাইকোর্ট বিভাগের চরম দুর্নীতিবাজ, দলকানা–দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ/অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন এবং প্রধান বিচারপতির কাছে চার্টার অব ডিমান্ড উত্থাপন’—লেখা ব্যানারে ওই মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে আইনজীবীরা বলেন, দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ যেসব বিচারক শুধু দলীয় বিবেচনায় বিচারপতি হয়েছেন, দক্ষতা–যোগ্যতা দেখাতে পারেননি। তাঁদের দেশের মানুষ বিচারকের আসনে দেখতে চায় না। বিপ্লব সফল করতে হলে অবশ্যই দলবাজ–দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের সরে যেতে হবে। হাইকোর্ট বিভাগের দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ বলেন, ‘এখান থেকে কমপক্ষে ৩০ জনকে বিদায় নিতে হবে। আইন উপদেষ্টাকে বলি, আপনার কাছে সব নাম আছে। আপনি দয়া করে দুই, তিন–চার দিনের মধ্যে এই এলাকাকে পরিষ্কার করুন ও তাঁদের বিদায় দেন। বিচারপতিদের বলব, আপনারা দয়া করে পদত্যাগ করুন। আর যদি সেটা না করেন, তাহলে আমরা আপনাদের নামাতে বাধ্য হব। ৫–৬ দিনের মধ্যে না হলে তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে যদি তাঁদের বিদায় না দিতে পারি, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশ করে দেওয়া হবে।  

কিছুদিন আগে ৩০ জন বিচারপতির নাম দেওয়া হয়েছিল বলে মানববন্ধনে উল্লেখ করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। তিনি বলেন, সেখানে দুটি মানদণ্ড ছিল। একটি হচ্ছে চরম অর্থনৈতিক দুর্নীতিবাজ। আরেকটি হচ্ছে শপথ নেওয়ার পর যাঁরা বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি করেছেন, সরাসরি ফ্যাসিবাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদকে জিইয়ে রেখেছেন, দলীয় আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। সেই বিচারপতিদের তালিকা, ৩০ জনের নাম দিয়েছি। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ওই দুই মানদণ্ডের ভিত্তিতে ২০ জন হোক, ৩০ জন হোক বা ৪০ জন হোক বিচারপতি পদত্যাগ করবেন বলে আশা করেন তিনি।

আইনজীবী কাজী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন, এস এম জুলফিকার আলী, সাঈদ হাসান বখতিয়ার, টিপু সুলতান, এম আশরাফুল ইসলাম ও সাহাবুদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। মানববন্ধন শেষে প্রধান বিচারপতির কাছে চার্টার অব ডিমান্ড (চাহিদা সনদ) দেয় আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল।