প্রতিবেদন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সন্তোষ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ১৯ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যরাছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ নিয়ে করা রিট হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণসহ সরাসরি খারিজ করে দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক এ কথা জানিয়েছেন।

শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘আমরা কমিশনের সব সদস্য নারীর অধিকার নিশ্চিতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সব অংশীজনের সঙ্গে যুক্তিনিষ্ঠ ও গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজের দিকে একত্রে কাজ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে আমাদের সুপারিশগুলো নিয়ে অর্থবহ আলোচনা করা হয়।’

প্রসঙ্গত, আজ বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ নিয়ে করা রিট পর্যবেক্ষণসহ সরাসরি খারিজ করে দেন। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পেলে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী আবেদনকারী হয়ে ৪ মে রিটটি দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব। এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফৌজিয়া করিম ফিরোজও শুনানিতে অংশ নেন। তিনি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য।

আদেশের পর আইনজীবী রওশন আলী প্রথম আলোকে বলেন, পর্যবেক্ষণসহ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পেলে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে জানা যাবে।

রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামি শরিয়তের বিধান ও জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী এবং দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে স্পর্শকাতর। তাই এ বিষয়ে রিট করা হয়।

আরও পড়ুন