শেখ হাসিনা এবং সজীব ও পুতুলের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের অসন্তোষ

শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলফাইল ছবি: বাসস

ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দেওয়া আদালতের সাজার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুদকের আইনজীবীরা। তাঁরা সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তিন মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এক মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং আরেক মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর ঢাকা মহানগরের আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দুদকের আইনজীবী খান মো. মঈনুল হাসান বলেন, ‘আমরা যেটা প্রত্যাশা করেছিলাম, সর্বোচ্চ শাস্তি, সেটা পাইনি। আমাদের ক্লায়েন্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে বসব। তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব, আপিল করব না কি।’

অপর আইনজীবী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আদালত বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা প্রমাণিত হয়নি। শুধুমাত্র দুদকের আইনের ৫(২) ধারা প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের সাজা হয়েছে। আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা ও দুদক আইনের ৫(২) ধারা প্রমাণিত হয়েছে। দণ্ডবিধির ১৬১, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা প্রমাণিত হয়নি।’

এই তিন মামলায় ১০৯ ধারা প্রমাণিত হলে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

আরও পড়ুন