এক বছরে গ্রেপ্তার ১ লাখ ২০ হাজার মাদক ব্যবসায়ী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে দেশে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। একই সময়ে মামলা হয়েছে ৯৭ হাজার ২৪১টি।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ‘জিরো টলারেন্স’ (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক নির্মূলে সারা দেশে অভিযান পরিচালনাসহ চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়াসহ বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঘটে মিয়ানমার থেকে ও ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ অনুপ্রবেশ করে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিচারিক আদালতে মাদকসংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮২ হাজার ৫০৭।

পুলিশে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বৃদ্ধি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আওয়ামী লীগ সরকারের গত তিন মেয়াদে পুলিশ বাহিনীতে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে মোট মঞ্জুরিকৃত জনবল ২ লাখ ১৪ হাজার ১৭৬টি (পুলিশ পদ ২ লাখ ৩ হাজার ৩৬৭টি এবং নন-পুলিশ পদ ১০ হাজার ৮০৯টি)। বিভিন্ন দেশ ও মানদণ্ড তুলনায় পুলিশের জনবল বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও সেবাপ্রার্থীদের সহজে পাসপোর্ট প্রদানের লক্ষ্যে পাসপোর্টের জন্য আবেদন দাখিল, পাসপোর্ট ফি পরিশোধ অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে নতুন পাসপোর্ট অফিস স্থাপনের চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।

ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন

সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে দেশের মেট্রোপলিটন এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায় মাটির নিচ দিয়ে অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ লাইন ও ভূগর্ভস্থ সাবস্টেশন নির্মাণের কাজ চলমান। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা/কোম্পানিগুলো প্রায় ২ হাজার ৭৪২ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ লাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।