কলকাতার দুর্গাপূজার মণ্ডপ সাজাতে এই প্রথম বাংলাদেশি শিল্পীরা

কলকাতার বেহালার নতুন সংঘের পূজামণ্ডপে কাজ করছেন বাংলাদেশি শিল্পীরা। ১৮ অক্টোবর
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

এই প্রথম কলকাতায় বাংলাদেশের শিল্পীরা গড়ে তুলেছেন একটি পূজামণ্ডপ। নির্মাণ করেছেন দুর্গাপ্রতিমা। মণ্ডপ ও প্রতিমা নির্মাণে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশের পাঁচ শিল্পী। দক্ষিণ কলকাতার বেহালার নতুন সংঘের পূজামণ্ডপে কাজ করছেন তাঁরা।

এই শিল্পীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ তানজিরুল রহমান। তাঁর সঙ্গে আছেন আরও চারজন। তাঁরা হলেন রাঙামাটির সৌমিক দেওয়ান (রাঙামাটি), পঞ্চগড়ের মধুসূদন রায়, ময়মনসিংহের বিশাল ভৌমিক ও দিনাজপুরের সৈকত রায়।

তানজিরুল ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের স্নাতকোত্তর। এখন থাকেন ঢাকায়। তাঁর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে।

আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তানজিরুল বলেছেন, বেহালার এক চিত্রপ্রদর্শনীতে যোগ দিতে এসে বেহালার নতুন সংঘ ক্লাবের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সেই সুবাদে এবার নতুন সংঘের পূজামণ্ডপ এবং প্রতিমা নির্মাণের প্রস্তাব পান। আর তারপরই চার শিল্পীকে নিয়ে কলকাতায় ছুটে আসেন।

এবার এই পূজামণ্ডপ এবং দুর্গাপ্রতিমার থিম হচ্ছে দাবার ঘুঁটি। প্রতিমা ও মণ্ডপ নির্মাণে শিল্পীরা দাবার ঘুঁটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।

তানজিরুল বলছিলেন, প্রতিমা নির্মাণে বাংলাদেশের টেপাপুতুলের আদল অনুসরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকবে দাবার মন্ত্রী, হাতি, ঘোড়া, নৌকা এবং সৈন্য। থিমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘চতুরঙ্গের সংকল্প’; অর্থাৎ প্রতিযোগিতামূলক এক জীবনযাত্রা।  

বেহালা নতুন সংঘের প্রতিমা নির্মাণ চলছে। ১৮ অক্টোবর
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

আজ সন্ধ্যায় এই মণ্ডপের দ্বার খুলে যাবে। তবে দ্বার খোলার আগেই এই মণ্ডপ এবং দুর্গাপ্রতিমা দেখতে প্রতিদিনই উপচে পড়ছে ভিড়।  

শিল্পী তানজিরুল রহমান আরও বললেন, ‘মণ্ডপের কাজ করতে এসে দারুণ সহযোগিতা পেয়েছি। অতিথি হিসেবে সবাই আমাদের কাছে টেনে নিয়েছেন।’

৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই মণ্ডপ ও প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। তাঁরা জানান, শুরু থেকেই এখানে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল। এখানে আসা দর্শনার্থীরা জানতে চেয়েছেন মণ্ডপ তৈরির নানা বিষয় নিয়ে।

তানজিরুল ইসলাম বলছিলেন, ‘এই মণ্ডপ কলকাতাবাসীর মনে আনন্দ জোগাতে পারবে।’