সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা পরিকল্পিত

গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে নাগরিক সমাজছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানটে হামলার ঘটনা পরিকল্পিত বলে মনে করছে নাগরিক সমাজ। এই হামলার জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে তারা।

প্রথম আলোর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে সমাবেশ করে নাগরিক সমাজ। এর আগে তারা ডেইলি স্টার ও ছায়ানট ভবনের সামনেও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদি বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে মধ্যরাতে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সময়ে আক্রান্ত হয় ডেইলি স্টার কার্যালয়ও। সেখানে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনেও ভাঙচুর চালানো হয়।

প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে যে হামলা দেখা গেছে, সেই হামলা পরিকল্পিত। এটি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টামাত্র। এই অপরাধীদেরও খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সব গণমাধ্যমকে এর প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে সামিনা লুৎফা বলেন, নইলে এই প্রতিহিংসাপরায়ণতা কাউকে বেঁচে থাকতে দেবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিও জানান সামিনা লুৎফা। এক সপ্তাহেও হামলাকারী গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, এত দিনেও অপরাধীরা ধরা না পড়ায় এবং নানা ধরনের খামখেয়ালিপনা দেখা যাওয়ায় এর দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় নাগরিক সমাজ।

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা রকমের খেলা চলছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বলেন, ‘এখন দেশের জটিল সময়, এই সময়ে আপনারা নাগরিকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিন, তাদের শান্ত রাখতে সচেষ্ট হোন।’

সমাবেশে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁরা আর কোনো সহিংসতা, উসকানি দেখতে চান না। তাঁরা নাগরিকদের নিরাপদে থাকার অধিকার চান।

আরও পড়ুন

আইনজীবী সারা হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, ইউপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন এই প্রতিবাদ সমাবেশে ছিলেন।

আরও পড়ুন