ফেনীতে ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার-৭
ফেনীতে ফিলিং স্টেশনের একজন কর্মচারীকে অপহরণ করে মুঠোফোনে চাঁদা দাবির ঘটনায় অপহরণ চক্রের মূল হোতাসহ সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার রাতে তাদের ফেনী শহরের চাড়িপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার পর আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. জাহিদুল ইসলাম (২৭), মো. শরফুদ্দীন (২৭), মো. ফয়সাল (২৫) মো. সোহাগ (১৯), মো . মনিরুজ্জামান (৩৫), মো. সোলেমান হোসেন (২৫) ও মো. মিরাজ (২৯)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালসংলগ্ন হাজী নজির আহমদ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় কর্মচারী রফিকুল ইসলামকে (২৮) তুলে নিয়ে যান অভিযুক্ত যুবকেরা। রফিক ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। কিছুক্ষণ পর অপহৃত রফিকের মুঠোফোন থেকে ফিলিং স্টেশনের মালিককে কল করে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ফিলিং স্টেশনের মালিকপক্ষ বিষয়টি অপহৃত ব্যক্তির ভাইকে জানায়। এরপর রফিককে উদ্ধারের জন্য তাঁর ভাই যোগাযোগ করলে অপহরণকারী মূল হোতা জাহিদুল ইসলামের মুঠোফোন নম্বরে ৪০ হাজার টাকা দ্রুত বিকাশ করে পাঠানোর জন্য বলা হয়। বিষয়টি রফিকের ভাই ফেনী র্যাব-৭ কে জানান।
অভিযোগ পেয়ে র্যাবের সদস্যরা ফেনী শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এক পর্যায়ে চাড়িপুর এলাকা থেকে অপহৃত কর্মচারী রফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করেন। এ সময় অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশি করে পাঁচটি বিভিন্ন আকারের চাকু উদ্ধার করা হয়। অভিযানে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।