গরমে বিদ্যুতের ঘাটতি সামাল দিতে এসির ব্যবহার কমানোর দিকে নজর উপদেষ্টার
এবার গরমের সময় দেশে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের এই ঘাটতি মেটাতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গণি রোডের বিদ্যুৎ ভবনে পবিত্র রমজান মাস ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির। তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে আমদানি করা গ্যাসের ওপর নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা করা হবে। এলএনজি থেকে এখন দিনে ৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। রমজানে তা ৩০ কোটি ঘনফুট বাড়িয়ে ১২০ কোটি ঘনফুট দেওয়া হবে। বাড়তি গ্যাস দিতে পেট্রোবাংলাকে বলা হয়েছে।
আসন্ন রমজানে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট ও গ্রীষ্মের সময় ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগতে পারে বলে উল্লেখ করেন জ্বালানি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘গরমের সময় লোডশেডিং সহনীয় রাখতে এসির ব্যবহার ১৬-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় না রেখে ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা করতে পারি। তাহলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি কমে যাবে। সেটা যদি করা সম্ভব হয়, তাহলে রোজার পাশাপাশি গরমেও লোডশেডিং সহনীয় রাখা যাবে।’
এসির ব্যবহার কমাতে টেলিভিশন, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির। একই সঙ্গে অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, ময়মনসিংহ এলাকায় লোডশেডিং বেশি হয়। সেখানে যাতে লোডশেডিং কম হয়, সে চেষ্টা থাকবে। গ্রামের চেয়ে রাজধানীতে বেশি লোডশেডিং হবে বলে জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির খান বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর চাপ ছিল। তবে দাম বাড়ানোর কোনো চিন্তা নেই। ব্যয় সংকোচন করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে। তা ছাড়া গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। তবে বর্তমান সংযোগের বেলায় দাম অপরিবর্তিত থাকবে। অবশ্য যাঁরা নতুন গ্যাসের সংযোগ নিতে চান কিংবা অতিরিক্ত সংযোগের প্রয়োজন হয়, তাঁদের বাড়তি দাম দিতে হবে।