জকসু নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ১৩ দফা ইশতেহার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ১৩ দফা ইশতেহারের ঘোষণা দিয়েছেন এ প্যানেলের প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সব প্রার্থীর উপস্থিতিতে ইশতেহার ঘোষণা করেন এ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী এ কে এম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল।
১৩ দফা ইশতেহারের মধ্যে কয়েকটি উপদফাও অন্তর্ভুক্ত করেছে প্যানেলটি। ইশতেহারে গণতান্ত্রিক ও সুরক্ষিত ক্যাম্পাসে নিশ্চিতকরণ, আবাসনসংকটের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান, মূল ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত সংস্কার, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের দ্রুত সমাপ্তি নিশ্চিতকরণের বিষয়ে বলা হয়েছে।
ইশতেহারের অন্যান্য দফার মধ্যে রয়েছে পরিবহন ও যাতায়াতব্যবস্থার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরণ, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন, হয়রানিমুক্ত ও দ্রুততম প্রশাসনিক সেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও নেটওয়ার্কিং শক্তিশালীকরণ।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ, নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার সুরক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সুরক্ষা, সবুজায়ন এবং প্রাণিবান্ধব ক্যাম্পাস বিনির্মাণ, আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগের কথাও বলা হয়েছে ইশতেহারে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এবার জকসুর ২১টি পদের বিপরীতে মোট ১৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ১৭ জন। সদস্য পদে সবচেয়ে বেশি—৫৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর একটি ছাত্রী হলে ১৩টি পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।