শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ট্রাইব্যুনালের সামনে উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বির বাবা মিরাজ তালুকদার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেনছবি: প্রথম আলো

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের খবর পাওয়া মাত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে উল্লাস শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জুলাই শহীদ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও আহতরা।

একই অপরাধের দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। দুপুর সাড়ে ১২টায় রায় পড়া শুরু হয়। দণ্ড ঘোষণার মধ্য দিয়ে বেলা ২টা ৫৪ মিনিটে রায় শেষ হয়।

রায় আসার পর ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে উল্লাস শুরু হয়। উপস্থিত লোকজন বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর মধ্যে ছিল ‘এই মুহূর্তে খবর এল, খুনি হাসিনার ফাঁসি হলো’, ‘চব্বিশের বাংলায়, খুনি হাসিনার ঠাঁই নাই’।

বিকেল তিনটার দিকে সেখানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বির বাবা পেশায় ভ্যানচালক মিরাজ তালুকদার। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছেন, ১০০ বার ফাঁসি দিলেও সেটা কম হয়ে যাবে। হাসিনার ফাঁসির রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। এই রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চান।

আরও পড়ুন

রায়ের পর ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে আসেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। তিনি এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঐতিহাসিক। এই রায়ের মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীর সামনে একটা বড় নজির স্থাপিত হয়েছে।