নাহিদ সুলতানাসহ চার আইনজীবীর ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন

হাইকোর্টফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে হট্টগোল-মারামারির মামলায় নাহিদ সুলতানা যুথীসহ চার আইনজীবী ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।

চার আইনজীবীর করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এই আগাম জামিন দেন।

নাহিদ সুলতানা ছাড়া অপর তিন আইনজীবী হলেন জাকির হোসেন মাসুদ, শাকিলা রওশন ও মৌসুমী চৌধুরী ফাতেমা। চার আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান ও আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

এর আগে গত সোমবার চারজনের করা পৃথক দুটি আগাম জামিন আবেদন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে দাখিল করা হয়। বেঞ্চের এক বিচারপতি আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেছেন উল্লেখ করে আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের পর এ-সংক্রান্ত নথি সোমবার বিকেলে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি আবেদন দুটি শুনানির জন্য বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।

ভোট গণনা নিয়ে মারধরের ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে ৮ মার্চ বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফ। মামলায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল। সেখানে আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে প্রধান আসামি করা হয়। নাহিদ সুলতানা সমিতির নির্বাচনে সম্পাদক পদে অংশ নেন। এ ছাড়া মো. রুহুল কুদ্দুসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়, যিনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল) থেকে সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মারধরের অভিযোগে করা মামলায় ইতিমধ্যে মো. রুহুল কুদ্দুসসহ ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। রিমান্ড শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।