কর্মস্থলে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের স্মরণ

চট্টগ্রামে গত এক বছরে কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। আজ শনিবার নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে
ছবি: সংগৃহীত

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মালিক এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা বরাবরই উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকনেতারা।

চট্টগ্রামে গত এক বছরে কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে নেতারা এই মন্তব্য করেন। আজ শনিবার নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্বালনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)।

বিলসের রিসোর্স অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে চট্টগ্রামে পরিবহন খাতে ৪৯ জন, নির্মাণকাজে ৩৫ জন, জাহাজভাঙা কারখানায় ৭ জনসহ মোট ২৩৮ জন শ্রমিক কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বিএম ডিপোতে নিহত হন ৫১ জন শ্রমিক।

চট্টগ্রামে গত এক বছরে কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। আজ শনিবার নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে
ছবি: সংগৃহীত

শ্রমিকনেতা উজ্জ্বল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও মো. ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিলস কর্মকর্তা রিজওয়ানুর রহমান খান, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান, শ্রমিক লীগের সৈয়দ আহাম্মদ, ফজলুল কবীর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সহসভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, আবু আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জাহিদ উদ্দিন, জাতীয় শ্রমিক লীগের মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

নেতারা বলেন, নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য শ্রমিকেরা চাকরি করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় শ্রমিকেরা কাজ করতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে বারবার দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন এবং অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁরা বলেন, তাজরীন ফ্যাশন, রানা প্লাজা, সেজান জুস কোম্পানি, এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং সর্বশেষ বিএম কনটেইনার ডিপোসহ বিভিন্ন কলকারখানায় দুর্ঘটনায় মালিক ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দায়ী ব্যক্তিদের কাউকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি। ফলে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মালিক ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা বরাবরই উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। পরে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।