সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই প্রয়োজন: ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ছবি: রয়টার্স

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অংশ হিসেবে যেকোনো দেশে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি বিশেষভাবে সতর্কতা ও যাচাই-বাছাইয়ের দাবি রাখে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জোটটির সদস্য দেশগুলোর ঢাকা মিশন এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ইইউ ডেলিগেশনের পক্ষ থেকে এই টুইট বার্তা দেওয়া হয়।

টুইট বার্তায় বলা হয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অংশ হিসেবে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অপরিহার্য সুরক্ষার আলোকে কোনো দেশে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যাচাই-বাছাই ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

এর আগে প্রথম আলোসহ বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সাম্প্রতিক ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের (এমএফসি) ১২ সদস্য। আজ এক বিবৃতিতে এমএফসি এই উদ্বেগ প্রকাশ করে।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। রাজধানীর রমনা থানায় করা এই মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা রয়েছেন।

এর আগে গতকাল ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সিআইডির সদস্য পরিচয় দিয়ে কিছু ব্যক্তি শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যান। বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ৩০ ঘণ্টার বেশি পর তাঁকে রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়েছে। প্রথমটি রাজধানীর তেজগাঁও থানায়, দ্বিতীয়টি রমনা থানায়।

আরও পড়ুন

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতি নজরে এলে দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি, উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।

আরও পড়ুন