অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টরের খণ্ডিত সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে: ডিএমপি

ফাইরুজ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেনছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের খণ্ডিত সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন। আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে গতকাল শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এ বিষয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আম্মান ও দ্বীন ইসলামের খণ্ডিত সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

আরও পড়ুন

মহিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে (আম্মান ও দ্বীন ইসলাম) আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অবন্তিকা (২৪)। তাঁর বাবা প্রয়াত জামাল উদ্দিন সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। মা ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চবিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।

আরও পড়ুন

অবন্তিকার কয়েকজন বন্ধু জানান, তিনি ফেসবুক পোস্টে আম্মানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে আম্মানের পক্ষ নিয়ে তাঁর (অবন্তিকা) সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ করেন তিনি।