অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শহীদ উদ্দীন ও স্ত্রী–সন্তানদের ৩৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শহীদ উদ্দীন এবং তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার কথা গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে দুদক

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী কর্নেল (অব.) মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়েছে অভিযোগপত্রে। দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে নাম আসা অন্য আসামিরা হলেন শহীদ উদ্দীন খানের স্ত্রী ফারজানা আঞ্জুম খান এবং দুই মেয়ে শেহতাজ মুনাসী খান ও পারিসা পিনাজ খান। এর আগে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন মামলার তদন্ত করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, মো. শহীদ উদ্দীন খান ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ২০১০ সালে সেনাবাহিনীর কর্নেল পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। শহীদ উদ্দীন খান তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানতে শহীদ উদ্দীনের নামে দুদক সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে। তিনি তাঁর নিজের, তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে–বেনামে অর্জিত স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস এবং সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত তথ্য দুদকে তুলে ধরেননি।

উল্লেখ্য, মো. শহীদ উদ্দীন খান সরকারের একজন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে অনেক দিন আগে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখান থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।

এর আগে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত কর ফাঁকির মামলায় শহীদ উদ্দীন খানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই বছরের ১০ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় শহীদ উদ্দীন খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা এক মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর শহীদ উদ্দীন খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।