১১ মাসের রাইয়ান কিছু খাচ্ছে না
রাইয়ান ইকবালের বয়স মাত্র ১১ মাস। গত বুধবার তার জ্বর আসে। পরদিন পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে অবস্থিত মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে।
রাইয়ানের বাবা আরশাদ ইকবাল আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতালে প্রথম আলোকে বলেন, ছেলেটা কিছু খাচ্ছে না। জোর করে পানি খাওয়াতে হচ্ছে। জ্বরে অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। অনেক দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
আরশাদ ইকবাল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাঁদের বাসা নগরের আকবর শাহ এলাকায়। হাসপাতালে রাইয়ানের পরিচর্যা করছেন মা নার্গিস আক্তার ও বোন রাইশা ইকবাল (১২)। শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে দুপুরে রাইয়ানকে নেবুলাইজারে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। মা নার্গিস আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিবারে আর কেউ এখনো ডেঙ্গু আক্রান্ত হননি। কিন্তু মশা থেকে ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। তার ডেঙ্গু হয়ে গেল।’
এই হাসপাতালে শুধু রাইয়ান নয়, তার মতো এমন আরও ৩১ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে ছয় বছর বয়সী ফারিয়া মুনিকে ভর্তি করা হয় গতকাল রোববার। তাদের বাসা নগরের হালিশহর এলাকায়। ফারিয়ার মা ফাহিমা আক্তার জানান, ‘আমার দুই ছেলেমেয়ে। কয়েক দিন আগে মেয়েটার জ্বর ওঠে। এরপর ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আট বছর বয়সী উৎপলা বড়ুয়া। তাদের বাড়ি রাঙামাটির টিঅ্যান্ডটি এলাকায়। উৎপলার মামা তরুণ বড়ুয়া জানান, উৎপলার বাবা উজ্জ্বল বড়ুয়া তিন দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। তিনি রাঙামাটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। উৎপলাও রাঙামাটি সদর হাসপাতালে তিন দিন ভর্তি ছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে উৎপলাকে স্বজনেরা দেখাশোনা করছেন।
হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ ৭৭ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৩২ শিশু। কয়েক সপ্তাহ আগেও শিশু রোগী বেশি ছিল। সবাইকে চিকিৎসকেরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।