সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অপর চারজন হলেন আইনজীবী ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক।
আদালতের আদেশের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই পাঁচজনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আজ তাঁদের আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পাঁচজনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত শনিবার সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ পাঁচজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী। মামলায় আইনজীবী নাহিদ সুলতানাসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। নাহিদ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসও। শনিবার রুহুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালত তাঁকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি এখন ডিবি হেফাজতে আছেন।
মামলায় এজাহারভুক্ত অপর আসামিরা হলেন আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, শাকিলা রৌশন, কাজী বশির আহম্মেদ, ওসমান, আরিফ, সুমন, তুষার, রবিউল চৌধুরী, মৌসুমী ফাতেমা, সাইদুর রহমান, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন, মশিউর রহমান, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, তরিকুল ও সোহাগ। তাঁরা সবাই আইনজীবী। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।