লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামীকাল রোববার তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এটি আগামী মঙ্গল বা বুধবারের মধ্যে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এর গতিপ্রকৃতি বলছে, এটি বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কা কম।

গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, নিম্নচাপটি বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইছে, যা সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্র এবং তার আশপাশের এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ৫ থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এর গতিপ্রকৃতি বলছে, এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের দিকে এগোনোর আশঙ্কা বেশি। বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কা খুবই কম। এখন নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর–তীরবর্তী দেশগুলোতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগামী দুই থেকে চার দিন এ ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, নিম্নচাপটি শনিবারের (আজ) মধ্যে আরও শক্তি অর্জন করে আগামীকাল রোববারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে দু–তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি হবে চলতি বছর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। চলতি বছরের মে মাসে প্রথম ঘূর্ণিঝড় মোখা, অক্টোবরে দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় হামুন, গত মাসে তৃতীয় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সৃষ্টি হয়। সব কটি ঘূর্ণিঝড়ই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলেছে।