ঢাকার রেস্তোরাঁয় অভিযান: গ্রেপ্তার ১৯ জন কারাগারে, দুজনের জামিন

গতকাল ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউসিয়ার টুইন পিক ভবনের রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দিয়েছে রাজউকছবি: প্রথম আলো

ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও ওয়ারী এলাকায় গতকাল বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মচারীরা ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় রেস্তোরাঁয় অগ্নি বা দাহ্য বস্তুর ব্যবহার সম্পর্কে ত্রুটিপূর্ণ আচরণ বা দুষ্কর্মের সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ সোমবার ২১ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দুজনের জামিন হয়েছে। বাকি ১৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান ও রকিব হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ধানমন্ডি থানা-পুলিশ গতকাল ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউসিয়ার টুইন পিক ভবনের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। জিগাতলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজায় অভিযান চালিয়ে ক্যাপিটাল লাউঞ্জ নামের একটি রেস্তোরাঁর মালিক মো. রেদুয়ান আহম্মেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ধানমন্ডির জিএইচ হাইটস ভবনের বিভিন্ন তলায় অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর বাইরে জিগাতলা মোড় থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভাটারার জগন্নাথপুরে বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানার পুলিশ। ওয়ারী থানা-পুলিশ পুরান ঢাকার র‍্যাংকিন স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ধানমন্ডি ও ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ১৯ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দুজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের এসআই রণপ কুমার ভক্ত।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডে একটি ভবনে আগুনে ৪৬ জন মারা গেছেন। গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সব কটি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। ওই ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকায় আগুন লাগার পর কেউ বের হতে পারেননি। ভবনের সিঁড়িতে রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার। এ ঘটনার পর ঢাকার রেস্তোরাঁগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁ ভবনে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশসহ সরকারের নানা সংস্থা।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন