ঢাকার হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী কমছে
ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চাপ কমতে দেখা যাচ্ছে। গত সাত দিনের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন সাত শর কম রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কিছু হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন না।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারা দেশে ১ হাজার ৬৭৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা শহরের বাইরে ৬৪ জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ জন এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৮ জন।
আগের দিন অর্থাৎ ১২ অক্টোবরের সর্বশেষ হিসাবে ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলোতে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৯১। ১১ অক্টোবর এই সংখ্যা ছিল ৫৭৯। তার আগের দিন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ৬১৭ জন। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা শহরের হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম প্রতিদিন ঢাকা শহরের সরকারি ২০টি ও বেসরকারি ৫৮টি মোট ৭৮টি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। কন্ট্রোল রুম বলছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরের ৭টি সরকারি হাসপাতালে কোনো নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হননি। অন্যদিকে ৩৪টি বেসরকারি হাসপাতালে কোনো নতুন রোগী ভর্তি হননি। এ সময় ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলোতে ২ হাজার ৫৩৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এক মাস আগে অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর এসব হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ছিলেন ৪ হাজার ১৩৭ জন। অর্থাৎ ৬১ শতাংশ রোগী কম।
অতীতে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে তুলনামূলকভাবে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা ঢাকা শহরের বাইরে বেশি। এ বছর এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯১ হাজার ৮ জন রোগী। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৬। ঢাকা শহরের চেয়ে ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার বেশি।
এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে কন্ট্রোল রুম। এই নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৮। এর মধ্যে ঢাকা শহরে মারা গেছেন ৭১৭ জন এবং ঢাকা শহরের বাইরে মারা গেছেন ৪৩১ জন। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি মৃত্যু বিশ্বের আর কোনো দেশে ঘটেনি।