মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ ঘিরে চক্রান্ত চলছে

মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ নিয়ে আজ সোমবার সেগুনবাগিচায় সংবাদ সম্মেলন করেন কয়েক অভিভাবকছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ ঘিরে নানা চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, এটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে অপতৎপরতার ছক সাজিয়েছে একটি ‘কুচক্রী মহল’।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংবাদ সম্মেলন করেন কয়েক অভিভাবক। বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত এই সংবাদ সম্মেলন হয়নি। পরে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এ ছাড়া সাংবাদিকদের কাছে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্য ও ছবি পাঠানো হয়। একলিমুর রেজা কোরাইশ নামের এক অভিভাবক লিখিত বক্তব্যের তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ একটি স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এটি এমপিওভুক্ত হয়। নিজস্ব জায়গায় পৃথক ছয়টি ক্যাম্পাসে বর্তমানে প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত অধ্যয়ন করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি কুচক্রী মহলের কারণে কয়েক বছর ধরেই প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে নানা চক্রান্ত চলছে। এটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়েই অপতৎপরতার ছক সাজানো হয়। এর অংশ হিসেবেই এমপিও বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটি ট্রাস্টের অধীন নেওয়ার অপতৎপরতা চলে।

এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে অস্থিরতা বিরাজ ছাড়াও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা অসত্য, মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সব অপকর্ম চলেছে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানকে পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে। এ লক্ষ্যে চলছে অবৈধ ট্রাস্ট গঠনের তোড়জোড়। এ কারণে ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে শিক্ষকদের এমপিওর টাকা তুলতে দেওয়া হয় না। অথচ প্রতি মাসে ব্যাংকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি অংশের টাকা আসে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, অবৈধ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করা।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, মনিপুর স্কুলে বার্ষিক আয় শতকোটি টাকার ওপরে।