টঙ্গীতে ভাড়া বাসা থেকে বাক্প্রতিবন্ধী নারীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের টঙ্গীতে ভাড়া বাসা থেকে বাক্প্রতিবন্ধী একজন নারীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর গাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম রাবেয়া সাবরিন আক্তার ওরফে লিখন (২৮)। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর পটখালী গ্রামের সেলিম হাওলাদারের মেয়ে। টঙ্গীর শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টে (মৈত্রী শিল্প) কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। মা রাজিয়া বেগমকে নিয়ে থাকতেন গাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার একটি বাসায়।
পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বছরখানেক ধরে ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে মায়ের সঙ্গে থাকতেন সাবরিন। আজ সকালে তিনি বাসায় একাই ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে পার্শ্ববর্তী একজন ভাড়াটিয়া ওই কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পান। পরে কক্ষের দরজা খুলে দেখেন বিছানার ওপর ওড়না ও গামছা দিয়ে সাবরিন আক্তারের হাত-পা ও মুখ বাঁধা নিথর দেহ। এরপর পুলিশে খবর দেন সেখানকার বাসিন্দারা। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, সাবরিন আক্তারের হাত-পা ও মুখ বাঁধা ছিল। লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আশপাশের ভবনে থাকা সিসিটিভি ক্যমেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হবে।