হিরো আলমকে ভিডিও সরাতে আইনি নোটিশ

আশরাফুল ইসলাম আলম (হিরো আলম)।
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘আমারো পরানো যাহা চায়’ শিরোনামে রবীন্দ্রসংগীতসহ তিনটি গান মিউজিক ভিডিও আকারে সামাজিক মাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ তুলে সেগুলো অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। হিরো আলমের বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আজ বৃহস্পতিবার ওই নোটিশ পাঠান।

নোটিশের শেষাংশে হিরো আলমের উদ্দেশে বলা হয়, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘আমারো পরানো যাহা চায়’, ‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি’ এবং মোগোয়া জাগোম্বে’ গানগুলো অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

একই সঙ্গে ভবিষ্যতে মিউজিক ভিডিও নির্মাণের নামে বিকৃত ও অশুদ্ধ বাংলা শব্দ উচ্চারণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য পরিবেশন এবং অশালীন পোশাক পরিহিত দৃশ্য ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার ও প্রকাশ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকবেন। তা না হলে প্রচলিত আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সম্প্রতি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত ‘আমারো পরানো যাহা চায়’ গানটির একটি মিউজিক ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার ও প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু দৃশ্যে তাঁকে গিটার হাতে গানটি গাইতে দেখা গেছে। হিরো আলমের গাওয়া গানের কিছু লাইন ও শব্দের সঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত ‘আমারো পরানো যাহা চায়’ মূল গানটির লাইন ও শব্দের মিল পাওয়া যায়নি। একইভাবে বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী মৌসুমী ভৌমিকের গাওয়া ‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি’ গানটিও হিরো আলম গেয়েছেন, যার কিছু লাইন ও শব্দের সঙ্গে মূল গানটির লাইন ও শব্দের মিল নেই। এর আগে হিরো আলম উগান্ডার সোয়াহিলি ভাষার ‘মোগোয়া জাগোম্বে’ নামে একটি লোকগান করেছেন। সেখানেও মূল গানের সঙ্গে নিজের ইচ্ছেমতো নতুন কিছু শব্দ ব্যবহার করেছেন।

হিরো আলম মিউজিক ভিডিও নির্মাণের নামে বিকৃত ও অশুদ্ধ বাংলা শব্দ উচ্চারণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও দৃশ্য ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার ও প্রকাশ করে গণ–উৎপাত সৃষ্টি করে অপরাধ করেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়, হিরো আলম একজন চলচ্চিত্রশিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হওয়ায় অনেকেই তাঁর ভাষাগত উচ্চারণ, আচার–আচরণ, অঙ্গভঙ্গি, নাচ, পোশাক, চলাফেরা অনুকরণ ও অনুসরণ করে থাকে। ফলে হিরো আলমের নির্মাণ করা মিউজিক ভিডিওতে বিকৃত ও অশুদ্ধ বাংলা শব্দ উচ্চারণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য পরিবেশন ও অশালীন পোশাক পরিধানজনিত—এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোরেরা, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।