জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জকসুর রোডম্যাপসহ ২ দাবিতে উপাচার্যের কক্ষের সামনে চলছে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে আজ রোববার তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুর ১২টা থেকে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর দুপুর ১২টা থেকে উপাচার্যের কক্ষের সামনে দুই দফা দাবিতে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘আটটা টু আটটা, বাজায় কার ঘন্টা’, ‘ভিসি স্যার জানেন না নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি’, ‘ভিসি স্যার শুনছেন নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি‘, ‘হচ্ছে হবে বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’, ‘করছি করছি বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’, ‘জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’ স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি হলো—শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি ঠিক কবে থেকে কার্যকর হবে তা নিশ্চিত করা এবং জকসুর নীতিমালা অনুমোদন, তফসিল ঘোষণাসহ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, তিনদিন ধরে আন্দোলন চলছে। কিন্তু প্রশাসনের কেউ একবারের জন্য আসেননি। আমরা সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, কোনো আপোষ চলবে না। যতক্ষণ দাবি আদায় না হয়, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল জনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে তামাশা করছে। তারা সব সময় আশ্বাস দেয়। কিন্তু বাস্তবে উল্টোটাই দেখা যায়। দুই দফা দাবি না মানলে প্রশাসনকে চরম মূল্য দিতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের অবস্থান কর্মসূচিতে প্রশাসনের ঘুম ভাঙছে না। তাই ১২টা থেকে ভিসি স্যারের কক্ষের সামনে ব্রেক দ্য সাইলেন্স কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এটা শেষ হলে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।
উপাচার্যের বক্তব্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসকল দাবির বিষয়ে আন্দোলন করছেন, সেসব দাবি পূরণে 'মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি' থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। জকসুর নীতিমালার জন্য আগামী মঙ্গলবার অথবা বুধবার সিন্ডিকেট মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত করে ইউজিসিতে পাঠানো হবে। আইন পাশ হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।