বিএনপির নেতা জহির উদ্দিনের জামিন আবেদন গ্রহণ করে নিষ্পত্তির নির্দেশ
বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক পাঁচ মামলায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জহির উদ্দিনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১০ জানুয়ারি ওই রিট করেন জহির উদ্দিন। পাঁচ মামলার মধ্যে তিনটি পল্টন থানার ও দুটি রমনা থানার এবং মামলাগুলো ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।
এর গত ২ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে জহির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে তাঁকে হাজির করা হয়। পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় তাঁকে রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। তাঁর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর জহির উদ্দিনকে আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ আদালতে জহির উদ্দিনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী সগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় ২ নভেম্বর জহির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এটিসহ তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রমনা থানার অপর একটি মামলায় ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাকি পাঁচ মামলায় তাঁর নাম থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
যে কারণে এসব মামলায় তাঁর জামিন আবেদন করা হয়, যা গত ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় পাঁচ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পাঁচ মামলায় জহির উদ্দিনের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুসারে ১৫ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।