চা শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবি ৪৫ নাগরিকের

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলা চা–শ্রমিকদের ধর্মঘট। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা–বাগানে
প্রথম আলো

চা শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা নির্ধারণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪৫ জন নাগরিক। শনিবার এক বিবৃতিতে তাঁরা এ দাবি জানান।

একই সঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ৩০০ টাকা মজুরি পেলেও তা দিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারের ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। কারণ একজন শ্রমিকের মজুরির ওপর কমপক্ষে ৫ জনের ভরণপোষণ নির্ভর করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে সার্বিক জীবনমান (যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ঝুঁকিপূর্ণ কীট-নাশক এর সঠিক ব্যবহার, নারী স্বাস্থ্য) উন্নয়ন ও তদারকিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একজন কৃষি শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৩ কেজি ৩৭০ গ্রাম চালের সমপরিমাণ। বর্তমানে গ্রামে একজন মজুরকে সারা দিনের জন্য দিতে হয় কমপক্ষে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। এ ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নিম্নতম মজুরি বোর্ড বিভিন্ন সেক্টরের যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করেছে তা আরও বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চা শ্রমিকদের বর্তমান ন্যূনতম মজুরি ২৩২ রুপি যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭৭ টাকা।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন— সুলতানা কামাল, খুশী কবির, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, হামিদা হোসেন, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, আলী ইমাম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, শামসুল হুদা, স্বপন আদনান, শিরিন হক, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, মেঘনা গুহঠাকুরতা, রাণা দাশগুপ্ত, ইমরান মতিন, সুব্রত চৌধুরী, পারভীন হাসান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ফস্টিনা পেরেইরা, জেড আই খান পান্না, তবারক হোসাইন, সারা হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, শারমিন মুর্শিদ, সঞ্জীব দ্রং, জাকির হোসেন, শাহীন আনাম, রোবায়েত ফেরদৌস, রেহনুমা আহমেদ, শহিদুল আলম, সুমাইয়া খায়ের, মির্জা তাসলিমা সুলতানা, সামিনা লুৎফা, কাজলী সেহরীন ইসলাম, ফেরদৌস আজীম, গীতি আরা নাসরিন, মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান, জোবাইদা নাসরীন, ফারহা তানজিম, নোভা আহমেদ, রেজাউল করিম লেনিন, মো. নুর খান লিটন, শাহনাজ হুদা, হানা শামস আহমেদ, রেজাউল করিম চৌধুরী ও দীপায়ন খীসা।