বিএনপির কর্মসূচি, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
ছবি: প্রথম আলো

এখন পর্যন্ত বিএনপির যত নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা সবাই পরোয়ানাভুক্ত আসামি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা খুব সুস্পষ্ট। যাঁরাই দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন, আইন অমান্য করবেন, আইন মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই স্বাভাবিক।’

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

যেখানে ভাঙচুর হচ্ছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং এটাই স্বাভাবিক বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোথাও বিএনপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপি হঠাৎ আন্দোলনে এসেছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিগত দিনের রাজনীতির কারণে জনগণ থেকে তারা দূরে সরে গেছে। তাদের থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর প্রমাণ ২০০৮ এবং পরবর্তী নির্বাচনে জনগণ তাদের বিপক্ষে রায় দিয়েছে। নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দেবে না, তাই তারা নির্বাচনে আসে না।

বিএনপি জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা না করে প্রতিদিনই রাজপথ ও অন্যান্য স্থানে কর্মসূচি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, “একটি দল তাদের ম্যানিফেস্টো ও নীতি অনুযায়ী আন্দোলন করতেই পারে, আমরা তাতে বাধা দেব না।” তারপরও তারা বলছেন, আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি।’

মন্ত্রী বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন। তারুণ্যের সমাবেশে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছে। তাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, আপনারা রাস্তাঘাট বন্ধ করবেন না, এতে দুর্ভোগ তৈরি হয়। এখানে কোথায় আপনারা দেখলেন আমাদের সরকার তাদের সহযোগিতা করছে না। যখনই পুলিশের কাছে কর্মসূচির জন্য অনুমতি চাচ্ছেন, পুলিশ তাদের অনুমতি দিচ্ছেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী লক্ষ্মীপুরে যে ব্যক্তি মারা গেছেন, সেটা ব্যবসায়ী দ্বন্দ্বে; কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শাহাবুদ্দিন খান, র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মইন , বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল , সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ প্রমুখ।