জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্ত নিয়ে রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার এ রায় দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গত বছরের ১৪ আগস্ট তিনি রিট করেন। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
রুল শুনানিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আবার প্রার্থী হতে ওই পদ থেকে জাহাঙ্গীর পদত্যাগ করেছেন উল্লেখ করে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা নিয়ে তাঁর করা ওই রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাষ্ট্রপক্ষ। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম কে রহমান ও মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল প্রথম আলোকে বলেন, পর্যবেক্ষণসহ রিটটি নিষ্পত্তি করা হলো উল্লেখ করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। তবে কী পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তা পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে জানা যাবে।
গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। জাহাঙ্গীর তাঁর মা জায়েদা খাতুনকে মেয়র পদে প্রার্থী করেন। নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে গাজীপুরের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।